…
মৃত্যু থেকে সাড়ে এগার কদম দূরে থাকা আমরা,
শূন্যের নন্দনে
(ষড়ায়তনে) সাতের সত্তায় সৃজিত অ্যাটম! …
মৃত্যু ও মৃত্তিকা জানে;
আমাদের পরিণতি হৈল এই—
ছয়টা কারকের ষড়ায়তনে সৃজিত সাতের ‘সময়’
কিংবা ‘সত্তা’
কিংবা ‘সা রে গা মা পা ধা নি’
মরণে চলিয়া গেলে
মৃত্যুতে
পড়িয়া থাকে
‘পঞ্চভূতের শরীর’
কিংবা ‘কোমল রে, কোমল গা, কড়ি মা, কোমল ধা, কোমল নি’!
অতঃপর
(ষড়ায়তনে) তাহাও বিলীন, আরেক ষড়ায়তনে …
অথচ হৈল না
‘সা, রে, গা, মা, পা, ধা, নি’
সুরের মাঝারে
‘কোমল রে, কোমল গা, কড়ি মা, কোমল ধা, কোমল নি’
সুরের সাধনে গলা সাধা
কিংবা
সাত পাকের সংসারে পঞ্চব্যঞ্জন ভোজন
কিংবা
সাতপাঁচ ভাবিয়া কর্ম্মের সাধন
কিংবা
সাতের সালাত পঞ্চওয়াক্ত আদায়! …
তিন ও চারের রসায়নে জাত
পঞ্চাননের
মৃত্যুর ঠিকানা
কিংবা যংসন হৈল
(দৈর্ঘ্যে সাড়ে তিন, প্রস্থে আড়াই) ছয়হাত মাটীর মাঝে
(বাহ্যিক চার, ভিতরে দুই) ছয় দেওয়ালের ‘কবরদর্শন’!
অতএব, দরুদ পড়ুন এগার বার …
(লোক দেখানো) ধর্ম্মকর্ম্ম বিফলেই
এগারৈ
এগিয়ে লৈয়া যাইৰে বারর আবর্ত্তনে।
এগার হৈল
দিশাগ্রস্তন্, গমন্, অস্তিত্ব, রক্ষক!
যাহা
দিশাগ্রস্তন্ + গমন্ + অস্তিত্ব + রক্ষক = এ + গ্ + আ + র।
ফকীর সাহাৰুদ্দিন গাহিতেছে:
কোরানের মা ‘ছুরা ফাতেহা’ পাঠ করিও প্রতিদিন
কুলহু আল্লাহ দিনে তিনবার শোধ হৰে না নৈলে ঋণ (২)
দরুদ পৈড় এগার বার (২) হৈতে চাইলে সফলকাম (১)
………………………..
জজ্ৰাহালে যিকির কৈর রাইখ মনে একটা ধ্যান
যিকিরেতে পাইবা একদিন দয়াল দেখার মহা জ্ঞান (২)
………………………..
জীবনের
রঙ্গমঞ্চের গীতি কবিতায়
মাকসুদুল হকের ভোকালে ‘ফিডৰ্যাক’ গাহিতেছে—
হয় ত কারো পড়ৰে মনে একলা একা
ঢল পহরের আলোয় যেন হটাৎ দেখা
পড়ৰে মনে চার বেহারায়
পালকি তোলে চার কলেমায়
ধীর গতিতে নির্জনতে এগিয়ে যাবে …
উজান ভাটির উপকূলে
(মায়া নদী পরাপারেও) বাউল গাহিতেছে—
ও নাইয়া রে,
অষ্ট ইঞ্চি নদীর তীর,
খাঁউজ কাটা মাপে ঠিক, চার আঙ্গুলে যাওনা পাড়ি দিয়া …
জীবনস্য কথার কাননে
(অনুস্বার কিংবা)
সাতের সত্তার খামে ভরা
(বিসর্গ কিংবা)
পাঁচের ব্যঞ্জন লাভের সংবাদে কাটাইয়া দেওয়া
(চন্দ্রবিন্দুর কিংবা) নয়ের জীবন আমাদের।
বিন্দুর নৈকট্য লাভে আসা বিসর্গের ‘বিন্দুবিসর্গ’
জানি না কেবলি
(সাতপাঁচ ভাবিয়া/না ভাবিয়া) একটা জীবন কাটাইয়া দেওয়া আমরা! …
কবরের মাঝে ফুটিয়া থাকা ঘাসফুলেরা এইসব জানে!
আরো জানে
(সাত রঙের মর্ম্মধারী)
সাদা কাপড়ের কাফনে মোড়ানো (পঞ্চভূত) পঞ্চানন বিশ্বাস
এৰং
বারর বার্ত্তাবাহী
(ষ ড় আ য় ত ন-এর সখা) ‘অথৈ’ …
আরণ্যক টিটো রচিত ও প্রকৃতিপুরুষ কর্ত্তৃক প্রকাশিত কবিতা, বার — প্রকৃতিপুরুষ বানান রীতিতে সম্পাদিত।