এইসব অন্বিষ্ট ভুলে, আমার দিকে ফেরো
হে দিগভ্রান্ত নাবিক,
তোমার জাহাজ কতো সমুদ্রে, কতো ফেনায়িত তরঙ্গ ভেঙে
হরেক মশলার ঘ্রাণে আধেক বোঝাই-
কখনোবা স্বপ্নের মতো সেই দেশ,
কখনো দূরে দিগন্ত ঠেলে দিয়ে,
ভেসে ভেসে কতদূর, নামহীন কত
বন্দরে বন্দরে ফেলেছে নোঙর, মানুষের ভীড়ে
তুমিও নিজেকে কেবল স্থলের মানুষ ভেবে মিশে গিয়েছিলে
প্রাত্যহিক যাপনের উষ্ণ আড়ম্বরে?
কখনো জেনেছো তুমি, আকাশে মেঘের সাথে সখ্য নেই কোনো
ঘোলাটে চিমনি থেকে উগড়ে দেয়া ধূমায়িত বাষ্পের?
অথবা ধূলোর আস্তরণে যতোটাই স্বাভাবিক মনে হোক,
পুরনো ঘরের ছাদে ধূসর ধূলির প্রাণ চিরকাল পরজীবী রয়ে যায়?
আজ বন্দরে কোনো সাইরেন নেই,
নেই সারি সারি নির্জনতা ঘেরা সহস্র প্রদ্বীপ জ্বলে,
অথবা, তোমার অপেক্ষায় চেয়ে নেই নিশাচর বাতিঘর কোনো।
ভুলে গেছে তোমাকে সবাই? নাকি তোমাকেই মনে রেখে
ভুলে গেছে পৌনঃপুনিক জীবনের কূটাভাস, অসময়ে চলে গেছে ঘুমে?
তবু তোমাকেই ডাকি আমি হাতছানি দিয়ে, এসো-
এইসব অন্বিষ্ট ভুলে, আমার দিকে ফেরো
হে দিগভ্রান্ত নাবিক,
আবার বেরিয়ে পড়ি আমাদের চিরায়ত সমুদ্রভ্রমণে।
তানভীর আকন্দ রচিত ও প্রকৃতিপুরুষ কর্ত্তৃক প্রকাশিত কবিতা, নাবিক — প্রকৃতিপুরুষ বানান রীতিতে সম্পাদিত।