পূজা কড়া নাড়ছে দুয়ারে
পূজারী এসেছে জানাতে আমাকে আমন্ত্রণ—
আমি তো বাঙাল, বাঙালী মুসলমান
দোয়া খায়েরের শেষে খুলেছি দরজা
সামনেই পূজা, স্বাগতম।
যাব, নিশ্চয়ই পাতে পাব বুটের ডালের তরকারী
কচিপাঠার মাংস, লুচী, নারকেল নাড়ু—
এই নাও, কচকচে সবুজ পেয়ারা
সামনের ঈদে তোমারও নিমন্ত্রণ
ভুরিভোজ হবে ঝুরঝুরে হাতের সেমাই
মোঘল-মাটন বিরিয়ানি আর লাউ দুধের পায়েসে।
ক’দিন কাটবে দেবীর বোধনে, নিবেদনে, উদ্বেল উল্লাসে
ত্রিতাল ঢোলের বাদ্যে, দুর্গতিনাশিনী মায়ের আরাধনায়
তারপর হাজারো ভক্তের বিসর্জনের বেদনা।
বীরের পাঁজর পোঁতা মাটীর ঢেলায়
সহস্র ফুলের পাপড়ির দোলা
সুফিসাধকের পূণ্য চারণ ভূমীতে
শ্রমজীবী মানুষের কায়িক সাধনা
এ মাটী ভুবনজয়ী, বড্ড মোহময়ী।
বিশদ আকাশে বহু বর্ণের বর্ণিল ছটা
হাওয়ায় ভাসে সুমধুর আযানের ধ্বনি, ভাটিয়ালী সুর,
নানা পথ ও মতের ত্রিবেণী সংগমের
মিল অমিলের মহাসম্মিলন তীর্থ
নান্দনিক বৈচিত্রের সুন্দরের খনি, প্রাণের স্বদেশ
তোমাকে সালাম সুবর্ণ বাংলাদেশ।
হাবিব আহসান রচিত ও প্রকৃতিপুরুষ কর্ত্তৃক প্রকাশিত কবিতা, সুবর্ণ বাংলাদেশ