…
প্রতিদিন ঘুম ভাঙ্গায় আমার
ভোরের আযান—
আ-স্ সা-লা-তু খা-য়-রু-ম্ মি-না-ন্ না-উ-ম্ …
সুরেলা গুঞ্জনে
আড়মোড়া ভেঙ্গে জেগে উঠি (অঙ্গনে তোমার …)
মহাজাগতিক্ল
সুরের তরঙ্গে নৃত্যপর
সুমধুর আযান
উপহার দেওয়া তুমি সঙ্গীত পছন্দ কর না!
এই আমার বিশ্বাস হয় না, সাঁই! …
(শ)
শূন্যতার অসীম নন্দনে
(ত র ঙ্গা য়ি ত) তিনের মাত্রায় লী লা ম য় তুমি;
অসীম শক্তিযোজন্
সক্রিয়ণ্
বাহক! …
(ষ)
ষ ড় আ য় ত নে
তোমার সৃজনমুখর ষষ্ট-কার্য্যদিন এবং
(স)
সাতের আসীন মেনে সৃজনমুখর আমার শরীর
কিংবা
আটের আরশ—
গীটারের ‘ছয়টা’ তারের কার্য্যে
‘সাতটা’ সুরের ব্যঞ্জনায় বেজে ওঠে নৈকট্যে তোমার …
যাহা জানে,
‘সাতটা’ সুরের
দোলায় দোলায় দোলা ছয়টা ছিদ্রের বাঁশী!
… অব্যক্তের ব্যক্ততায়
দো লা য়ি ত বায়ুর তরঙ্গ (তিন)
[তিন + চার =
সাতের সম্পর্কে]
বাঁশীর মুখের চুম্বকীয় ফুঁঁয়ের মন্ত্রণালয়ে;
চারের চয়ণ্ এবং পাঁচের পালনে
ছয়টা ছিদ্রের কারুকাজে
(আঙ্গুলের ললিতকলায়) ‘সাতটা’ সুরের নির্গমনে বাজে
বারোর আবর্ত্তনে …
যেই ‘ভাবে’ বারতে আবর্ত্তিত
[সূচনায়
ফলাফলবাচক
সাতের ‘স’ দিয়ে লেখা (পাঁচটা বর্ণের)] সূর্য্য! …
সাতের সংবাদে
শূন্যতার অসীম নন্দন থেকে আসা আলোর তরঙ্গ (তিন),
[তিন + চার
= সাতের সম্পর্কে]
বায়ুর পুরাণে
চারের চয়ণ্ এবং পাঁচের পালন
ছয়টা ধাপের কারুকাজে রূপ নেয় বর্ণীল আলোর প্রকাশনে;
সাত রঙে রাঙ্গায় আমার
(আটের আরশ)
বারদুয়ারী ঘরের নন্দনকানন;
[সূচনায়
ফলাফলবাচক
সাতের ‘স’ দিয়ে লেখা (পাঁচটা বর্ণের)] সংসার …
(বিশেষ শ্বাসের) বি-শ্বাসে আকুল
আমিও ত তাই,
তোমার কাননে আছি সাঁই এবং তোমার কানুনেই …
বাজাইতেছি
সাতটা সুরের জীবন;
সাজিয়েছি (সাত দু’গুণে) চোদ্দের সংসার!
(শুক্রাচার্য্যে)
সৃজনের উদ্ভাসনে দো লা য়ি ত বির্য্যের তরঙ্গ
(তিন) জানে,
[তিন + চার = সাতের সম্পর্কে]
বিশ্ব-ব্রহ্মাণ্ডের সৃষ্টিতত্ত্বরূপী মাতৃ-গর্ভের মন্ত্রণালয়ে
চারে
ভ্রুণের চয়ণ্
এবং পাঁচের পালনে পেয়েছি সাধের জীবন,
পঞ্চানন রূপ!
ছয়ে প্রসবিত সাতের সন্তান আমি!
তাই
(তোমার ও আমার কার্য্য ও কারণে) আটের দিশায়
(আট যোগ দশে)
… আঠার মোকাম ভেদ করে আসা
ঊনিশের (রঙ্গীন) আলোকমালায় দেখিতেছি
(স্বত্বাধিকারী) তোমাকেই! …
(বিদায়বেলায়)
একিসূত্রে চলিয়া যাইব তোমার কাছেই—
হিসাব
অঙ্কিত আছে, সপ্তাঙ্গ তত্ত্বের শরীর সমাহিত
(দৈর্ঘ্যে সাড়ে তিন, প্রস্থে আড়াই) ছয়হাত মাটির
(বাহ্যিক চার, ভিতরে দুই) ছয় দেওয়ালের
কবরদর্শনে;
যাহার
গোপন আরতি জানে,
রূপনারায়ণের তীরে কী এক গোপন নৈকট্যে হারিয়ে ফেলা
(চারের চয়ণে
তিনটা ধাপের কারুকাজে উঠিয়া আসা
সাতের সুগন্ধি জড়ানো) জীবনের
সাতটা রঙের মর্ম্ম ধারণ করা সা-দা কাফনের সংসার! …
আরো জানে, তেপান্তরর মাঠে
হুন … হুনা… হুন … হু ন …
(ধ্বনির গুঞ্জনে)
সংসার পানে ছুঁটিয়া চলা চার বেহারার পালকি
কিংবা
শানবাঁধানো উঠানের কোলে
(লতায়পাতায় ঘেরা) কাজল কুটীরের চাল—
যে আমাকে (চয়ণিকায়)
পালনে
মমতায় আগলে রাখে জীবনের পান্থশালায়! …
আপাততঃ ঘুরিতেছি, ফিরিতেছি
ছয়টা কারক ও সাতটা বিভক্তির মাঝারে …
কর্ম্মের
নিভৃত যোগে
[তিন যোগ চার যোগ ছয় যোগ ছয় … সিলেবলে}
(আরবী ভাষায়)
ঊনিশ হরফে উচ্চারণ করিতেছি,
(বিছ্মিল্লাহির রাহ্মানির রাহীম্) بِسْمِ اللَّهِ الرَّ حْمَنِ الرَّ حِيمِ
বিষয় বিষের যাতনাময় বিশ্বে
যাহা জানে
বিশের বিশ্বের অন্তঃস্থ বাহক (বাঙ্গালা ভাষার বর্ণ)
‘অন্তস্থ-ব’—
বর্ণের অঙ্কিত রূপতত্ত্বে
ত্রি-ভূজের ওপর
(পূর্ণ) মাত্রার চয়ণে যাহার মান চার!
যাহার আরো খপর জানে;
শিব*৩-এর
(ত্রি-মাত্রিক) ক্রিয়াবাহী
(ব্রহ্মা*৫, বিষ্ণু*৫ ও মহেশ্বর*৬) রূপ …
অর্থাৎ
শক্তি*৩-এর
(ত্রি-মাত্রিক) ক্রিয়াবাহী
(সৃষ্টি*৫, স্থিতি*৫ ও লয় *৬) রূপ …
অর্থাৎ সৃজন উদ্ভাসে
[(তিন + পাঁচ + পাঁচ+ ছয়)-এর ফলাফলে, ঊনিশের রসায়ণে জাত]
বিশে উপনীত শিব অর্থাৎ শি/ব = বি/শ
কিংবা
শ্/ই/ব এর ক্রিয়ার বিপরীত ক্রিয়া ব্/ই/শ! …
যাহা
‘ই’ কিংবা সক্রিয়ণে সাধিত,
(চারের) চয়ণিকায়;
অন্তঃস্থ বহনে (পঞ্চভূতময়) অ্যাটমিক বিশ্ব!
দর্শনে বিশ্বরূপ;
মন ও মননে বলিতেছ, ইক্বরা …
তাই
(সূচনায়) স্বরূপ দর্শনে
চয়ণ্ করিতেছি (আয়াতের নন্দনকাননে)
ছূরা ফাতেহার (সূর ও সুরুর) সাতের মাধুরী;
(পার্থিব দর্শনে) সাত রঙের দুনিয়া …
দ্বাদশ রবির আলোকমালায়
স্নানে,
এই আকুল পরাণে স্মরি (বার আওলিয়ার দেশে)
প্রতিদিন
আমার ঘুম ভাঙ্গায় যেন
হযরত বেলালের
দরায কণ্ঠের ললিতকলা সঙ্গীত নিকেতন …
(সাতের সলাত, পাঁচ ওয়াক্ত পালনে)
তোমার নৈকট্যে
(সেজ্দায়) সাতটা অঙ্গের ছোঁয়ায় আনত
(সাতের সত্তায় সত্যায়িত) আমি, সৎ-চিৎ-আনন্দম্! …
সাতপাঁচ ভেবেই বলিতেছি, বারোর আবর্ত্তনে
তুমিময়
(মহাজাগতিক)
সুরের তরঙ্গে নৃত্যপর ললিতকলা নিকেতনে
বল সাঁই,
কী ভাবে না বেজে থাকি—
সা … রে … গা … মা … পা … ধা … নি …
(সুরেশ্বরে)
বাঁশরীর স্বরলিপি সাক্ষ্য দিতেছে,
আ ল্ ল্ আ হ্ উ আ ক বর্ …
সুরের লীলায়,
ঐক্যে
হামকে … হামকে … বোলে
বাজে না ঢোলক, বাজে তুঁহু … তুঁহু …
বাজে বাজনাদার—
(হাম-বড়া)
সুরের দো-কাণ-দারী ভুলে বাজে সঙ্গীতে … সঙ্গতে …
সুরভাষী মনে
সুরের ঝর্ণাধারায় একাকার, (এক-আকারে)
বাজিতেছে
একতারা কাসা খোল তবলা ঢোলক …
আপনি বি-লয়ে …
আর্শিনগরে
ভাবের বাউল গাহিতেছে, তাহারা কার্য্য করেন ছয়জনা! …
(পাঞ্জেগানা) জীবন পালকে
জানি, (এক-রূপী)
‘পাঁচ’ আ + ম্ + ই > ছয় > তিনের তরঙ্গ,
(পড়িতেছি) ত্রিশপারা জীবন! …
বারোর আবর্ত্ত; সাতটা মহাদেশে ঘুরিতেছি, ফিরিতেছি
(চারের) চয়ণে;
অর্জ্জনে
তিন যোগ চার স-মান ‘সাত’
(অর্থাৎ
ঔ/ ঁ ত/ৎ স/ৎ …) অর্থাৎ তিন সত্যম্ তোমাকে! …
অতএব, দাও স্-উ-র—
করি সুরু, সুরে সুরে … সঙ্গীতে, রঞ্জিতে … তুমিময় …
ত র ং গ্ আ য়্ ই ত …
*** ছবি: ইণ্টারনেট থেকে সংগৃহীত
আরণ্যক টিটো রচিত ও প্রকৃতিপুরুষ কর্ত্তৃক প্রকাশিত কবিতা, সু র ও সু রু — প্রকৃতিপুরুষ বানান রীতিতে সম্পাদিত।
সুর থেকেই কি সুরু? আমি ঠিক বুঝি না, দ্বন্ধে থাকি! সুর থেকে সুরু হলে সুরটা কী? ভিন্ন ভিন্ন ধর্মে সুরের মর্যাদা ভিন্ন ভিন্ন!
সুর = স্ + উ + র > সাত/একরৈখিক শক্তিযোজন + (নবরূপে) উত্তীর্ণন + রক্ষক …
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ …
শূন্যের মাঝারে স্রষ্টা যাহা (সম্পৎ) সৃষ্টি করেছেন, তাহা থেকেই সুরু করিতে হয়। শূন্য থেকে সুরু করা যায় না, মাধ্যম লাগে … সুর/সম্পৎ আছেই … [উ] (নবরূপে) উত্তীর্ণন করিলেই [সুর্ + উ] সুরু হয়ে যায় … “শুর” না, সুর এর মাঝেই ডুব দেওয়া যাক …