সিগারেট খাওয়ার ছল করে কি ব্যালকনীতে গেলে?
হয়তো এই সামান্য একটু উৎকণ্ঠার জন্যে তোমাকে
খুঁজে পেতে বের করতে হল মহার্ঘ্য নিরিবিলি।
পেয়েছিলে খুঁজে নিশ্চয়ই, নচেৎ এই অসময়ে
তোমার খানিক অবাক করা, সম্ভবতঃ অকৃত্রিম উদ্বেগ
‘তুমি আগুন থেকে নিরাপদ দূরত্বে আছো তো?’

গ্লোবাল নিউজের নাড়ি নক্ষত্র তো তোমার নখদর্পণে
জানতে না বুঝি আমি অরণ্যের দাবানল থেকে দূরে,
নিরাপদ এই ভর দুপুরে, ব্যস্ত দাপ্তরিক কাজে!
মাঝ রাতে তবু মখমলি জাল বিছিয়ে দিলে আকাশ পেরিয়ে
ডুপ্লেক্স সিঁড়ি ভেঙে এসে ফ্রিজ খুললে,
জলের বোতল, গেলাস, পায়চারী…

হেঁটে হেঁটে ফিরে গেলে, ফিরে ফিরে গেলে বারংবার
সজল আয়নামুখী বিকেলবেলায়,
নামতে নামতে পা ডুবিয়েছিলাম যেখানটায়
জল কি তেমনি শীতল আছে এই ভরা বর্ষায়?
পাড়ের কদম, দুই একটা পড়ে থাকা বাসিফুল,
সেই আসি আসি সন্ধ্যের সাজ?

পুড়ে যাচ্ছে অরণ্যানী, সবুজ আগুনের হলকায়,
আমাকে ছোঁয়নি সে, তুমি পাঠিয়ে দিলে অন্য আগুণ,
শব্দ নিরোধক নিরিবিলি খুঁজেছিলে কি না জানা হল না,
আচ্ছা তোমার কন্ঠস্বর কি তেমনি আছে এখনও?
সম্মোহন মন্ত্র ধরেছিলে একদা কি অপার অবহেলায়,
ভাবতে গিয়ে থামলাম, এইখানে থামতে হয়…

অতঃপর উড়িয়ে দিলাম ভাবনাদের ডানা পালক সমেত
ঐ সুদূর দাবানলের শহরে, উড়ে যাক, পুড়ে যাক!
ঘুমহীন মাঝ রাত পেরিয়ে ভরদুপুরের অফিসের ব্যস্ততা
দূর সুদূরপুর… বড়জোর কিছু ছাই…
ভেসে ভেসে বিষন্ন বাতাসে পেরুবে শহর, দেশ, মহাদেশ!
ফিনিক্স, আপাততঃ ঘুমে, ঘুমায় না সে আজ বহুদিন।

রচিত ও প্রকৃতিপুরুষ কর্ত্তৃক প্রকাশিত কবিতা, অজুহাত

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *