…
(মৃত্তিকার মর্ম্মে)
মৃত্যু থেকে সাড়ে এগার কদম দূরে থাকা আপনি;
(এক) দিশাগ্রস্তনকারী! …
ষড়ায়তনে
সাতের সত্তায়
সৃজিত আট/ম্ আপনি, (নয়ের মরণে) দশেই ৰিদায়—
এগারতে এগিয়ে যাইবেন
নিরানব্বৈ নামীর দিকে যাত্রায়; দর্শনে আটের জান্নাত! …
জীৰনের রঙ্গমঞ্চের গীতি কৰিতায়
মাকসুদুল হকের ভোকালে ‘ফিডব্যাক’ গাহিতেছে—
হয় ত কারো পড়ৰে মনে একলা একা
ঢল পহরের আলোয় যেন হটাৎ দেখা
পড়ৰে মনে চার ৰেহারায়
পালকি তোলে চার কলেমায়
ধীর গতিতে নির্জনতে এগিয়ে যাৰে …
উজান ভাটির উপকূলে
মায়া নদী পরাপারেও গাহিতেছে ৰাউল—
ও নাইয়া রে,
অষ্ট ইঞ্চি নদীর তীর,
খাঁউজ কাঁটা মাপে ঠিক, চার আঙ্গুলে যাওনা পাড়ি দিয়া …
এগার পৰের্ৰর জগৎ দর্শন শেষে
ৰারোতে মৃত্যুর ঠিকানা
কিংৰা যংসন হৈল
(দৈর্ঘ্যে সাড়ে তিন, প্রস্থে আড়াই) ছয়হাত মাটীর মাঝে
(ৰাহ্যিক চার, ভিতরে দুই) ছয় দেওয়ালের ‘কৰরদর্শন’!
অতএৰ, দরুদ পড়ুন এগার ৰার …
দশের দিশায়
(লোক দেখানো) ধর্ম্মকর্ম্ম ৰিফলেই
এগারৈ এগিয়ে নিয়া যাইৰে ৰারর আৰর্ত্তনে …
একশত আটের ত্রিমাত্রিক যাত্রায়
এগার হৈল
দিশাগ্রস্তন্, গমন্, অস্তিত্ব, রক্ষক!
যাহা;
দিশাগ্রস্তন্ + গমন্ + অস্তিত্ব + রক্ষক = এ + গ্ + আ + র।
শুনুন, ফকীর সাহাৰুদ্দিন গাহিতেছে:
কোরানের মা ‘ছুরা ফাতেহা’ পাঠ করিও প্রতিদিন
কুলহু আল্লাহ দিনে তিনৰার শোধ হৰে না নৈলে ঋণ (২)
দরুদ পৈড় এগার ৰার (২) হৈতে চাইলে সফলকাম (১)
………………………..
জজ্ৰাহালে যিকির কৈর রাইখ মনে একটা ধ্যান
যিকিরেতে পাইৰা একদিন দয়াল দেখার মহা জ্ঞান (২)
………………………..
মৃত্যু ও মৃত্তিকা জানে,
(ৰারর গন্তব্যে) পরিণতি হৈল এই—
ছয়টা কারকের/কার্য্যের/ষডায়তনের ফলে সৃজিত সাতের ‘সময়’
কিংৰা ‘সত্তা’
কিংৰা ‘সা রে গা মা পা ধা নি’
মরণে চলিয়া গেলে
মৃত্যুতে
পড়িয়া থাকে
‘পঞ্চভূতের শরীর’ কিংৰা ‘রে গা মা ধা নি’!
অতঃপর তাহাও ৰিলীন …
কৰরের মাঝে ফুটে থাকা ঘাসফুলেরা
এইসৰ জানে!
আরো জানে
(সাত রঙের মর্ম্মধারী) সাদা কাপড়ের কাফনে মোড়ানো
(পঞ্চভূত) পঞ্চানন ৰিশ্বাস
এৰং
ৰারর ৰার্ত্তাৰাহী (ষ ড় আ য় ত ন-এর সখা) ‘অথৈ’!
অথচ হৈল না
সাতের সালাত পঞ্চওয়াক্ত আদায়,
কিংৰা
সাত পাকের সংসারে পঞ্চব্যঞ্জন ভোজন,
কিংৰা
সাতপাঁচ ভাৰিয়া কর্ম্মের সাধন! …
কিংৰা
‘সা, রে, গা, মা, পা, ধা, নি’-এর মাঝারে
‘কোমল রে, কোমল গা, কড়ি মা, কোমল ধা, কোমল নি’-এর সুরের সাধনে গলা সাধা …
জীৰনস্য কথার কাননে
(অনুস্বার কিংৰা)
সাতের সত্তার খামে ভরা
(ৰিসর্গ কিংৰা)
পাঁচের ব্যঞ্জন লাভের সংৰাদে কাটাইয়া দেওয়া
(চন্দ্রৰিন্দুর) নয়ের জীৰন আমাদের।
ৰিন্দুর নৈকট্য লাভে আসা ৰিসর্গের ‘ৰিন্দুৰিসর্গ’
জানেন না কেৰলি
(সাতপাঁচ ভাৰিয়া/না ভাৰিয়া) একটা জীৰন কাটাইয়া দেওয়া আপনি! …
আরণ্যক টিটো রচিত ও প্রকৃতিপুরুষ কর্ত্তৃক প্রকাশিত কবিতা, সাড়ে এগার — প্রকৃতিপুরুষ বানান রীতিতে সম্পাদিত।