…
যিনি ব্যক্ত করেন তিনিই ব্যক্তি ও বক্তা! …
ব্যক্ত(ই)র ব্যক্ত হওয়ার যে প্রবণতা, তাহার মাঝেই প্রতিষ্ঠানের রূপচিন্তন নিহিত!
যা সে প্রয়োগ করেছে জীবন আচারের মর্ম্মে,
এখানেই তাহার প্রবাহ, বিকাশ! প্রবাহের নাম, নদী! প্রবাহিত স্রোতধারায় নদী বাঁক নেয়, রূপ বদলায়! …
তেমনি ব্যক্ত(ই)র ব্যক্তভাববিশ্বের প্রবাহমানতায় যে রূপের বিকাশ—
(একক আমি’র অথবা যৌথ আমি’র) ব্যক্ত(ই)ত্বময় অজস্র প্রতিষ্ঠান/ অজস্র রূপচিন্তন,
তাহার মর্ম্মমূলেই ‘বিরোধিতা’ বিদ্যমান থাকে।
কারণ,
বিরোধ না থাকিলে বিকাশ থাকে না, থাকে (একই ব্যক্তের/মৌলের পুনঃ আবর্তন) মৌলবাদ! …
আর বিকাশ থেমে যাওয়া মানে, স্থবিরতা!
যাহা ব্যক্ত(ই)র ব্যক্ত হ্ওয়ার পথে অন্ত+রায়, অন্তরায় বেজে ওঠা সুর!…
ব্যক্ত-রূপচিন্তনময় প্রতিষ্ঠান নতুন ব্যক্ততাকে স্বীকার করে না,
কারণ,
নতুন ব্যক্ততা যেই দৃষ্টিভঙ্গিমায়/ষ্টাইলে বিশ্বপরম্পরায় আলোকপাত করিতে চায় তাহা পুরাতনী ব্যক্ততাকে সংকটপ্রবণ করে তোলে!…
(আর যেইখানে সঙ্কট সেইখানে বিরোধিতা> সংঘর্ষ> নির্মাণ!…)
ব্যক্তির ব্যক্তভাববিশ্বে অনুভূতিজাত সম্পর্ক ও আন্তঃসম্পর্কের পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্রময় প্রতিষ্ঠানে ‘প্রতিষ্ঠান বিরোধিতা’ আসলে ফ্যাশন না!
প্রতিষ্ঠিত, ‘নির্মিত সত্যের’ ‘প্রতিসত্য’ময় জগৎ দর্শন, এর মর্ম্ম! ভাবনার ‘বিপরীত ভাবনা’কে জাগাতেই প্রতিষ্ঠান বিরোধিতা নম্যঃ।
এর বেঁচে থাকা বিপ্লবের মহত্তর লক্ষ্য—
একক কিংবা যৌথ ব্যক্তির বাক্ত(ই)ত্বময় নবতর সন্দর্শনে!…
যাহারি বিহনে,
বলিতেছে প্রকৃতি: ওরে নবীন/ ওরে আমার কাঁচা/ আধমরাদের/ ঘা মেরে তুই/ বাঁচা!…
আরণ্যক টিটো রচিত ও প্রকৃতিপুরুষ কর্ত্তৃক প্রকাশিত গদ্য, ব্যক্ত> ব্যক্তি> বক্তা> প্রতিষ্ঠান — প্রকৃতিপুরুষ বানান রীতিতে সম্পাদিত।